রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায় কী জানতে চান? জানতে চান স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়?
আগামীকাল কী আপনার কোন পোগ্রাম আছে? বা আপনি কী একেবারে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে
চাচ্ছেন? সে আপনার উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে,
আপনাকে রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়, পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো। যেন আপনি আপনার কোন
পোগ্রমে হোক বা স্থায়ীভাবে হোক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান যে আপনার চেহারা
আগের থেকে অনেক টা ফ্রেস ও গ্লো করছে। তাহলে, মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়ুন এবং
প্রতিটি পদ্ধতি সঠিক ভাবে অনুসরণ করুন।
পেজ সূচিপত্র: রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
- রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
- কফির স্ক্রাব
- কফি ও মধুর
- বেসন ও টক দইয়ের
- বেসন ও কমলার খোসা
- কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি
- কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি তৈরির উপকরণ
- কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি তৈরির পদ্ধতি
- কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি ব্যবহার পদ্ধতি
- গ্লাস স্কিন রক্ষা করার খাবার
- গ্লাস স্কিন রক্ষায় বর্জনীয় খাবার
- শেষ কথা: রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
আমরা আজকে আপনাদের স্থায়ী ফর্সা হওয়ার যে উপায়গুলো বলবো তা আপনারা বাসায়
বসে তৈরি করতে পারবেন। এটা তৈরি হয়ে গেলে এটা ব্যবহার পদ্ধতিটা অনুসরণ করাটাই
মুখ্য বিষয়। অনেকে কি করে উপায়টা জেনে পুরো পোস্ট না পড়েই চলে যায়।
পুরো পোস্ট না পড়ে চলে যাওয়ার জন্য তাদের চেহারার কোন পরিবর্তন হয়না। পরে
এসে বলবে যে কোন কাজ করেনা এটা সেটা। তাই বলছি, আগে মনোযোগ সহকারে েসম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়বেন তার পর একে একে পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
তাহলে, অবশ্যই ভালো ফল পাবেন। কারণ অনেকেই এই রেমিডি ব্যবহার করে ফর্সা
হয়েছে। অনেকে তাদের কাঙ্কিত চেহারা পেয়েছে। আর এটি একটি কোরিয়ান রেমিডি যা অবশ্যই
আপনার চেহারাকে রাতারাতি ফর্সা করতে সাহায্য করবে।
কফির স্ক্রাব
প্রথমে আপনার চেহারাটাকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর জন্যে আপনি কফির স্ক্রাব
ব্যবহার করবেন। একটা লেবু মাঝখান বরাবর কেটে নিবেন। তারপর, সেই লেবুর ওপরে কফি
ছিটিয়ে দেবেন। এবং সেটি দিয়ে আপনার চেহারায় মাসাজ করবেন।
কেননা, কফিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক ফর্সা, স্বাস্থ্যবান ও বিশেষ করে
ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। কফির ছোট ছোট দানা আপনার ত্বকের সব
ময়লা বের করে আনতে সাহায্য করবে। এবং আপনার ত্বকের ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে
দেবে।
এটি কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট করবেন। তারপর যদি পারেন ঠান্ডাপানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে মুখ ধোয়ার পর হালকা বরফ দিয়ে মুখে মাসাজ করতে পারেন।
তাহলে ফলাফল আরও ভালো পাবেন। আর, প্রতিদিন সকালে বরফ দিয়ে চেহারা মাসাজ করবেন।
কফি ও মধুর
অথবা, আপনি একটি কাপে সামান্য মধু ও পরিমান মতো তবে মধু চেয়ে একটু কম কফি নিবেন।
তার পরে কফি ও মধুকে একসঙ্গে ভালো করে মেশাবেন। যতক্ষণ না মধু ও কফি এককেবারে
মিশে যাচ্ছে। যদি দানাদার কফি হয় তাহলে একটু বেশিক্ষণ ধরেই মিশ্রণ করবেন।
আর যদি পাউডার কফি হয় তাহলে অল্প সময়েই হয়ে যাবে।এরপরে ঔই কফি ও মধুর মিশ্রণে
সামান্য পরিমান লেবুর রস দিবেন দিয়ে আর একটু মিশ্রণ করবেন। ভালোভাবে মেশানো হয়ে
গেলে সেটি আপনার চেহারায় ব্যবহার করবেন। এবং ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
বেসন ও টক দই
অথবা, আপনারে একটি কাপ নিতে হবে এবং সেই কাপে ১ চা চামচ ব্যাসন ও ২ চা চামচ টক দই
দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। ভালো ভাবে মিশিয়ে ব্যাসন ও টক দইয়ের মিশ্রণটি কমপক্ষে
৫ থেকে ১০ মিনিট ব্যবহার করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
বেসন ও কমলার খোসা
এই প্যাকটি তৈরি করতে হলে আপনাদের প্রয়োজন হবে ২ টি ও একটি কাপে ২ চা চামচ বেসন।
কমলা থেকে কমলার খোসা বের করে সেটা ব্লেন্ডারে বা পাটা দিয়ে অথবা আপনার
কাছে যা আছে তাই দিয়ে ভালোকরে পিশে মেতি মেতি করে নেবেন। সঙ্গে চাইলে হালকা করে
গোলাপ জল মেশাতে পারেন।
এরপর, বেসন ও কমলার খোসাকে গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিবেন।
এবং ঔই পেস্টটি ঘুমানোর আগে চেহারাতে মেখে ঘুমাবেন। তার আগে ওপরের তিনটি
অর্থাৎ কফির স্ক্রাব অথবা কফি ও মধুর মিশ্রণ অথবা বেসন ও টক দইয়ের মিশ্রণ অথবা ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি
রাতারাতি ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাদের অবশ্যই এই রেমিডিটি ব্যবহার করতে হবে। এই
রেমিডিটি কোরিয়ানরা ব্যবহার করে থাকে যার জন্য তাদের চেহারা অনকে উজ্জল ও গ্লাসের
মতো চমকানো। আর এখন আপনারা এখানের এই রেমিডি বানানোর উপকরণ, পদ্ধতি ও ব্যবহার
বিধি সম্পরেক জানতে পারবেন।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি তৈরির উপকরণ
এই কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি তৈরি করতে আপনাদের প্রয়োজন হবে পরিমান মত চাল
এখানে আপনারা খাবার চাল ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যালোভেরা, গোলাপ জল, নারিকলে তেল
ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২ টি।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি তৈরির পদ্ধতি
প্রথমে আপনার প্রয়োজন মত যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু চাল নেবেন। এবং চালগুলো ৩ থেকে ৪
ঘন্টা ধরে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর, অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরা পাতা
কিনে এনে জেলটা বের করে আলাদা করে নেবেন।
এরপর, ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর চালে পানি আর অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশ্রিত করবেন।
সাথে গোলাপ জল, নারিকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো ভেতরের জেলটা
বের করে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।
ভালো করে মেশাবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না গাড়ো হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মিশ্রণ
করবেন। ব্যস তাহলে হয়ে যাবে আপনার কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি। এবার আসছে ব্যবহার
পদ্ধতি কেউ ব্যবহার পদ্ধতি না পড়েই রেমিডি ব্যবহার করে চলে যাবেন না।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি ব্যবহার পদ্ধতি
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন রেমিডি ব্যবহার করার আগে ভালো করে মুখ ফেসওয়াশ অথবা কফির স্ক্রাব অথবা কফি ও মধুর মিশ্রণ অথবা বেসন ও টক দইয়ের মিশ্রণ ব্যবহার করে চেহারাটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর, কোরিয়ান গ্লাস
স্কিন রেমিডি ব্যবহার করতে হবে।
এবং ব্যবহার করে সারা রাত থাকতে হবে। সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে নেবেন তারপর তোয়ালে
দিয়ে মুখ মুছে তার পর একটু গোলাপ জল হাতে নিয়ে মুখে মাসাজ করতে হবে। ব্যস, তারপর
আপনি আপনাকে নিজেই চিনতে পারবেন ন। রাতারাতি ফর্সা হওয়ার জন্য অবশ্যই আমার
নিয়ম মেনে চলতে হবে।
তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। এখন এই গ্লাস স্কিন ধরে রাখার পালা। আপনারা নিশ্চয়
শুনেছেন যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ঠিক তেমনি গ্লাস
স্কিন বা ক্লিয়ার স্কিন পাওয়ার চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন।
গ্লাস স্কিন রক্ষা করার খাবার
গ্লাস স্কিন শুধু পেলেই হবে না তা ধরে রাখতেও হবে। এর জন্যে আমাদের ভালো খাবার
খেতে হবে। বিশেষ করে বেশি ফল, সবজি ও রসালো খাবার খেতে হবে। বেশি বেশি পানি খেতে
হবে। ফলমুলে মধ্যে কলা, পেঁপে, তরমুজ, আপেল, কমলা, পেয়ারা আরও ইত্যাদি। এছাড়া
সবজির মধ্যে লাল শাক, কলমির শাক, পালং শাক, পিয়ার শাক, শশা ইত্যাদি।
গ্লাস স্কিন রক্ষায় বর্জনীয় খাবার
সর্বপ্রথম বলবো জাঙ্ক ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। যেমন: বার্গার, পিজ্জা, ভাজা পোড়া।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ ভাজাপোড়া, রাস্তার খাবার বেশি পরিমানে খেয়ে থাকি যা আমাদের
ত্বক, শরীর ও মন সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্থ করে। তাই আমাদের সবরকমের বাজে ও শুকনো বা
ভাড়াপোড়া খাবার থেকে দুরে থাকতে হবে।
শেষ কথা: রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়
এখন আপনারা যদি আমার কথামত সব কাজ করেন তাহলে আপনাদের রাতারাতি ফর্সা হওয়া
থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমি যেভাবে যে পদ্ধতিতে রাতারাতি ফর্সা হওয়ার
উপায় বল্লাম তা মেনে চললে আপনারা উপকৃত হবেন নিশ্চিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url