বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

 বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে জানতে চাচ্ছেন কী? তাহলে চলুন শুরু করি। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া অনেক মানুষেরই স্বপ্ন। সে হোক ঘুরতে যাওয়া হোক কাজের জন্য বা পড়াশোনার জন্য। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন কত টাকা প্রয়োজন কিভাবে যাবেন 
বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যেতে-কত-টাকা-লাগে
এবং সেখানে গিয়ে আপনি কিভাবে আপনার নিজের খরচ চালাতে পারবেন। এই সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব যেন আপনারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে খুব সহজেই যেতে পারেন। এতে আপনাদের কোন সমস্যার সম্মুখে যেন না হতে হয়।

পেজ সূচিপত্র : বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আপনারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে, কয়ভাবে যাওয়া যায়, যেতে বিমানের খরচ কত হতে পারে,  ভিসা করতে খরচ কেমন হবে এবং ছাত্রদের জন্য পার্ট টাইম জবের সুযোগ-সুবিধা আমেরিকাতে কেমন আছে।

এছাড়াও আপনারা আরো জানতে পারবেন যে আমেরিকায় যাওয়ার পরে চিকিৎসার খরচ কেমন হতে পারে। আপনার থাকা খাওয়া পোশাক আসাক চলাফেরা খরচ কেমন হতে পারে এবং এছাড়াও বাদ বাকি খরচ আছে যেমন মুভি দেখা আশেপাশে ঘুরতে যাওয়া বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা যে খরচ এগুলো সহ কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্বন্ধে আপনাদের একটা ধারণা দেবো।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা কয়ভাবে যাওয়া যায়

প্রথমে আসা যাক বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে কয় ভাবে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য ও আমার জানা মতে তিনটি উপায় রয়েছে। 
১. এর প্রথমটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসায়
২. ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে 
৩. ভ্রমণ এর মাধ্যমে। 

এছাড়াও যাদের অনেক টাকা-পয়সা আছে তারা চাইলে ডাইরেক্ট ফ্লাইট এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যেকোনো দেশে আসা যাওয়া করতে পারেন। আর এ পোস্টে আমরা জানাবো যে যাদের টাকা পয়সা আর একটু হলে অভাব বা স্টুডেন্ট আছেন যারা বিভিন্ন কাজের জন্য আপনারা দেশের বাইরে যেতে চান কম খরচে তারা এই পোস্টটি পড়লে অনেক উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে বিমানরে খরচ

চলুন এখন জানা যাক বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। এর আগের টাইটেলে আপনারা দেখেছেন যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য তিনটি উপায়ে রয়েছে এ তিনটি উপায়ে তিন ধরনের খরচ রয়েছে এর মাধ্যমে আমরা প্রথম নিয়ে কথা বলব স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার কত টাকা খরচ লাগে।

যে কোন বিমানের খরচ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: (১) ইকোনমিক ক্লাস, (২) বিজনেস ক্লাস।
ইকোনমিক ক্লাসের খরচ খরচ পড়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত। অপরদিকে বিজনেস ক্লাসের খরচ দাঁড়ায় ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। যেহেতু আমরা কম খরচে বিদেশে যাব সেহেতু আমাদের ইকনোমিক ক্লাসে যাওয়ায় ভালো।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে ভিসার খরচ

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার খরচ : স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে যদি আপনি স্কলারশিপে থাকেন। আর যদি আপনার স্কলারশিপ না থেকে থাকে তাহলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার খরচ: যেহেতু টুরিস্ট ভিসায় কোন স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা নাই তাই এখানে আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আমেরিকা যাওয়ার খরচ: যেহেতু ওয়ার্ক পারমিটে যাওয়ার পর আপনি সেখানে অনেক টাকা ইনকামের জন্য যাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে যাওয়ার জন্য প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ: আমরা এখানে সবকিছুর খরচ একটু বেশি ধরেছি যেন আপনাদের কোন ভোগান্তির শিকার হতে না হয়। তাই এখান কার খরচের থেকে তুলনামূলক কিছু কম খরচে আপনারা আমেরিকা যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা: 
১. বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত একটি বৈধ পাসপোর্ট।
২. জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
৩. মেডিকেল রিপোর্টে আপনাকে ফিট থাকতে হবে কোনরকম অসুখ থাকলে ভিসা অকার্যকর হবে।
৪. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে কোনরকম কেস থাকলে চলবে না।
৫. পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস বা তার বেশি থাকতে হবে।
আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা: 
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা যে পাঁচটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে সে পাঁচটি ওয়ার্ড পারমিট ভিসার জন্য প্রযোজ্য এ ছাড়া এক্সটা কিছু পয়েন্ট আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
১. আমেরিকায় একটি বৈধ কাজের আবেদনের ফরম লাগবে।
২. আপনাকে কাজের জন্য অনেক আগ্রহী হতে হবে।
৩. এবং যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন সে কাজের কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা : 
এখানেও একই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যে যোগ্যতা আছে সেগুলো অবশ্যই থাকতে হবে এছাড়া নিচে কিছু কোন আলাদা পয়েন্ট দেওয়া হল।
১. আপনি কোথায় ঘুরতে চান সেখানকার জায়গার নাম উল্লেখ করে দিতে হবে।
২. সেখানে কেন ঘুরতে চান সেখানে কি আপনাকে আকৃষ্ট করে এটা উল্লেখ করতে হবে তবে এটা আবশ্যক নয়।
৩. পূর্বে আপনার ট্রাভেলের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা সে সম্পর্কে জানাতে হবে।

ছাত্রদের জন্য পার্ট টাইম জবের সুযোগ সুবিধা

বাংলাদেশের মতো আমেরিকাতেও যে পার্ট টাইম এর সুযোগ সুবিধা কম এমনটি নয় যেহেতু আমেরিকার একটি উন্নতশীল দেশ সেখানে এর সুযোগ সুবিধা অনেক রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানে কল সেন্টারে কাজ করতে পারেন, রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে কাজ করতে পারেন, এছাড়া অন ক্যাম্পাসে অনেক ধরনের কাজ করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার পর চিকিৎসার খরচ

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার পর প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য প্রায় দশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তবে এটা আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভরশীল আপনার স্বাস্থ্য যদি সু-স্বাস্থের অধিকারী হয়ে থাকে তাহলে সেখানে আপনাকে চিকিৎসার জন্য বেশি অর্থ খরচ করতে হব না।

আর যদি আপনি বা দুর্বল প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সেখানে আপনার চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হতে পারে। এজন্য আপনি যতটা সম্ভব সেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন ফলমূল শাক-সবজি সেখানকাররা জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।

আপনি বিদেশে গেলে  বিভিন্ন নতুন নতুন খাবার আপনার খেতে ইচ্ছা করবে কিন্তু আপনাকে আপনার খরচের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত আপনার পছন্দের জান ফুল খাবার খেতে থাকেন আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং আপনার চিকিৎসার খরচ অনেক বেড়ে যাবে তাই সবসময় যেখানেই হোক না কেন।

আমেরকিায় বসবাসের খরচ

আমেরিকায় থাকার খরচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । কেননা সেখানে জায়গা ধরন এবং আপনি কতদিন থাকবেন সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে কিছু খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি যদি কোন মিড রেঞ্জের হোটেলে থাকতে চান তাহলে প্রতি এক রাতে ৮ হাজার থেকে ২৫০০ টাকার মত আপনার খরচ হতে পারে।

আর যদি হোস্টেলে থাকতে চান তাহলে চার থেকে আট হাজার টাকা খরচ হতে পারে। আর যদি কথা আসে যে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকবেন তাহলে এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা মাসে খরচ হতে পারে।

আমেরিকায় খাবার ও পোশাকের খরচ

যদি কথা বলা হয় খাবার ও পোশাক আশাকের খরচ তাহলে এখানে রেস্টুরেন্টে প্রতি মিলে আড়াই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হবে। আর যদি ধরা হয় ফাস্টফুড তাহলে এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। এবং সপ্তাহে গ্রোসারিজ এর খরচ আসবে ৪০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।

আর যদি আপনি বাসাতেই নিজের রান্না করে খান তাহলে সে ক্ষেত্রে খরচ কম আসবে । যদি ধরা হয় পোশাক আশাকের কথা তাহলে সেখানে পোশাক আশাকের খরচ তুলনামূলক বেশি আমাদের দেশ থেকে যেহেতু উন্নত দেশ সেও তো বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক তাই সেখানে কম দামে অনেক ভালো ভালো জিনিস পাওয়া যায় সেগুলো আপনারা নিতে পারেন।

সেখানে প্রতিটি টি-শার্টের দাম প্রায় ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। এবং একটি জিন্স প্যান্ট কমপক্ষে তিন থেকে ৪ হাজার বা ৫ হাজার এর মধ্যে হয়ে যাবে যেহেতু সেটা উন্নত দেশেও তো সেখানে দাম একটু বেশি হয় স্বাভাবিক।

আমেরিকায় চলাচলের খরচ

আপনি আমেরিকাতে কাজের জন্যই যান বা পড়াশোনা জন্য যান বা  ভ্রমণের জন্য যান না কেন। আপনাকে অবশ্যই এখান থেকে ওখানে ছোট ছোট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে চলাফেরা করতে হবে। ৯০০০ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ করতে হবে এবং কার যদি আপনি ৫০০০ থেকে ১২০০০ টাকা খরচ হবে।

আপনি যদি চান তাহলে ট্রেন ড্রাইভার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ২৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে এবং বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে তবে এখানে মাইল, কিলোমিটার সেটা কত কি এটা আমাদের সঠিক জানা নেই।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার পর অতিরিক্ত খরচ

অতিরিক্ত খরচ বলতে যদি আপনি সিনেমা দেখতে চান। তাহলে সিনেমা ১৫০০ থেকে ৪০০০ খরচ হতে পারে তবে এটা আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি সেগুলো দেখতে যাচ্ছেন কিনা বা ঘন ঘন দেখছেন কিনা বা তা প্রতি সপ্তাহে দেখছেন  সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ টা কম বেশি হতে পারে। 

এছাড়াও রয়েছে যে আপনি প্রথম প্রথম যেহেতু বিদেশে যাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে আশেপাশের অনেক মনোমুগ্ধকর জায়গা গুলো দেখতে ইচ্ছা করবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সেখানে ঘুরতে যান সে তার জন্য আপনার লোকেশন অর্থাৎ আপনার দূরত্ব অনুযায়ী আপনার খরচটা কম বেশি হবে ।

যদি আপনার  স্থায়ী লোকেশান থেকে অনেক দূরে ঘুরতে যান সে ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা যদি একটু কম হয় সেক্ষেত্রে ৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যেতে পারে।

শেষ কথা :  বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

যেহেতু আমরা এখানে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি কম খরচে কিভাবে আমেরিকাতে যাওয়া যায় এবং সেখানে থাকা যায় সেহেতু আমরা আমাদের ধারণা যে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আপনার প্রায় মাসেই লেগে যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে অনেক কিছু আপনার উপর নির্ভর আর করবে আপনার খরচ কম বেশি উপরে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url