কানাডা যাওয়ার খরচ ও যোগ্যতা ২০২৫
কানাডা যাওয়ার খরচ ও যোগ্যতা ২০২৫
কানাডা যাওয়ার খরচ ও যোগ্যতা ২০২৫ জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।সাধারণত বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া যায় তিনটি উপায়ে। সেগুলো হলো স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এর পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে।যেমন:
আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস, IELTS এর স্কোর কম করে হলেও ৬.৫ দরকার পড়বে। এছাড়াও জাতিয় পরিচয় পত্র, কোনো পুলিশ রের্কড থাকা যাবে না এবং ক্লিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট থাকতে হবে।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা। যার মাধ্যে ২০২৪ সালে কানাডায় প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী কানাডা যাওয়ার সুযোগ পাই। আপনার যদি Honours বা Masters করার ইচ্ছা হয়ে থাকে বিদেশে তাহলে আপনার পছন্দের তালিকায় কানাডা হতে পারে প্রথম। চলুন জেনে নিই কানাডা যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে
- সর্ব প্রথম আপনার পার্সপোর্ট থাকতে হবে।
- নতুন রঙিন কালারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- IELTS পরিক্ষায় সর্বনিম্ন ৬ - ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে। তবে বেশি থাকলে আপনি সুযোগ সুবিধা ভালো পাবেন। যেমন: পার্ট টাইম জবে আপনার অগ্রাধিকার বেশি থাকবে।
- আপনি কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবদন করবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি পত্র অর্থাৎ আপনি যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন সেই অফার লেটার।
- আপনার পূর্বের পড়াশোনা করা কলেজের সার্টিফিকেট ও মার্কসিটের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার পরিচয় পত্রের যাবতীয় কাগজ পত্র।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি লাগবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
- মেডিকেল স্টেটমেন্ট লাগবে।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার খরচ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে কানডায় যাওয়ার জন্য ২০২৪ সালে প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে অনেকের। কিন্তু ২০২৫ সালে আরও বেশি হয়ে দাড়াতে পারে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকায়। কেননা, জিনিস পত্রে দাম প্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিদেশে যাওয়ায় মানুষের প্রবণতা ও বৃদ্ধি পারেচ্ছ। তবে যদি আপনার চেনা জানা কেউ কানাডায় থাকে তাহলে আগে সব জেনে নিবেন তহলে খরচ কম হবে এবং আগে থেকেই সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারবেন।
কানাডায় টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
- কানাডার ভিসা আবেদন এর ফর্ম লাগবে।
- পূর্বে কোন কোন দেশ ভ্রমণ করে থাকলে তার ডকুমেন্ট লাগবে।
- ব্যাংকে অন্তত ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে।
- আপনি যে হোটেলে থাকবেন তার বুকিং ডকুিমেন্ট দেখাতে হবে।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি)
- বৈধ পার্সপোর্ট থাকতে হবে।
- নতুন রঙিন কালারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি লাগবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
- মেডিকেল স্টেটমেন্ট লাগবে।
কানাডায় টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার খরচ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে কানডায় যাওয়ার জন্য ২০২৪ সালে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে অনেকের। তবে, ২০২৫ সালে এসে খরচ তুলনামূলক বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, ভয় নেই এখানে খুব একটা বেশি বৃদ্ধি পাবে না। এখানে প্রায় ৩.৫ থেকে ৪.৫ বা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
- বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (সব বয়সীদের জন্য প্রযোজ্য না)।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- কানাডা ভিসা আবেদন ফরম।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারীর সকল ডকুমেন্টস গুলোর ফটোকপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি।
- করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার খরচ ২০২৫
২০২৪ সালে ওয়ার্ক পারমিটে কানাডায় যাওয়া ব্যক্তিদের খরচ হয়েছিল সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তবে, এই সেক্টরে আগের চেয়ে তুলনামূলক খরচ বেশি হতে পারে। কেননা, অধিকাংশই স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় যেখানে তারা সীমিত সময় পরে চাইলে চলে আসতে পারে। কিন্তু, ওয়ার্ক পারমিটে যাওয়া ব্যক্তিদের ৩ থেকে ৪ বছর পর ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস দেওয়ার পর কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পি.আর পেয়ে যাবেন। পরবর্তী এক বছর অর্থাৎ মোট ৫ বছর পর পরিবার নিয়ে আসতে পারবেন। যার কারণে খরচটা একটু বেড়ে যেতে পারে। তবে মোটামুটি বলা যায় যে ১২ থেকে ১৫ লক্ষের মধ্যে হয়ে যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url