Asus Vivobook S15 OLED Review in bd

Asus Vivobook S15 OLED Review

বর্তমানে বাজারে অসংখ্য ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে, এবং দিনদিন  বাজারে ল্যাপটপের চাহিদা ও বাড়ছে। এর মধ্যে থেকে আজকে আমরা Asus Vivobook S15 OLED এই ল্যাপটপের রিভিই নিয়ে এসেছি। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপটি বাংলাদেশের বাজারে ৬১,৯০০ টাকা থেকে শুরু। 
ASUS-Vivobook-S15-OLED-Review-in-bd
এই দামের মধ্যে থাকছে Core i3 1115G4 Processor 4GB DDR4 Ram and 512GB PCIE G3 SSD । আর সর্বোচ্চ দাম হচ্ছে ১১৫,৫০০ টাকা। এটিতে থাকছে Core i7 - 1165G7 Processor 8GB DDR4 Ram এবং 512GB PCIe G3 SSD আর গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে থাকছে MX350, 2GB । এর মাঝে আরো দামের আরো কনফিগারেশনের মধ্যে এই ল্যাপটপটি পেয়ে যাবেন ASUS এর নিজস্ব ওয়েব সাইটে। এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

Asus Vivobook S15 OLED Review: Design

আপনি যদি আগে Vivobook ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে, আপনাকে বাড়িতে ঠিকই মনে হবে। এই ল্যাপটপটি মসৃণ ও অনেক সুন্দর। এটাতে কোনো শাইনি ফিনিশিং নাই, আছে ম্যাট ফিনিশিং যা আপনাকে প্রিমিয়াম অনুভূতি দিবে।


আপনি যদি শুধু বাসাতে ব্যবহার করেন তাহলে ঠিকঠাকই মনে হবে তবে, এটা অফিস মেম্বারদের জন্য আরো বেশি  উপোযোগী বলে আমি মনে করি। কেননা, ল্যাপটপটির ‍ডিজাইন যেমন সুন্দর তেমনি তার ওজন ও দুর্দান্ত এটি 15" ল্যাপটপ হওয়া সত্ত্বেও এর ওজন কেবলমাত্র 1.4KG যা তাদের জন্য উপযোগী যারা চলাফেরা করে, ভ্রমণ করে বা অফিস সহকারীদের জন্য। এটার পুরুত্ব 14.7 মিলিমিটার যা যেকোন ব্যাগে সহজেই স্থান পেয়ে যায়। এবং এটি 180 ডিগ্রি খোলা যায়।

Asus Vivobook S15 OLED Review: Hardware

এবার চলে আসি এর সাইডের ইনপুট আউটপুট সেকশনে। এই Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপের বামদিকে আপনি একটি HDMI 2.1 TMDS পোর্ট, একটি মাইক্রো SD কার্ড রিডার, একটি 3.5mm Headphone Jack এবং দুটি USB4 USB-C পোর্ট আছে যা 4K ডিসপ্লে আউটপুট, 40GB/s ডেটা স্থানান্তর এবং চার্জিং সাপোর্ট করে। ল্যাপটপের ডানদিকে দুটি USB 3.2 Gen 1 Type-A পোর্ট আছে। Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপে বিভিন্ন কনফিগারেশনের আছে আর এর দাম ল্যাপটপের Processor, RAM, ROM and Graphics Card অনুযায়ী দাম কম বেশি হয়ে থাকে ।

আরো পড়ুন: Top 6 Ai tools for content writing

Asus Vivobook S15 OLED Review: Keyboard and Trackpad

সচারচর আলাদা Keyboard মানুষ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাথে ব্যবহার করে থাকে। তবে, আমার নিজস্ব মতামতে ল্যাপটপের Keyboard আমার বেশি ভালো লাগে। যেটা Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপে আরো ভালো অনুভূতি প্রকাশ করায়। বাটনগুলো অনেক পাতলা যার কারণে বেশি জোরে চাপ দিতে হয় না। এবং Keyboard এর ওপরের দিকে ব্রাইটনেস ও ভলিউম কমানো বাড়ানোর বাটন এ পাশাপাশি Mic on/off বাটন ও আছে। যা শটকার্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপটির আরো চমৎকার জিনিশটি হচ্ছে এর ট্রাক প্যাড যা অসাধারণ একটা অনুভূতি দেয়।

Asus Vivobook S15 OLED Review: Display

Asus Vivobook S15 OLED ল্যাপটপ এর আরেকটি আকর্ষণীয় জিনিস হলো তার ডিসপ্লে। এই ল্যাপটপটিতে আছে 15.6-ইঞ্চি 3K 120Hz OLED ডিসপ্লে রয়েছে যেটি অসাধারণ হতো যদি 4K হতো তাহলে।

Asus Vivobook S15 OLED Review: Performance

Asus Vivobook S15 Snapdragon X Elite-X1E78100 চিপসেট দ্বারা চালিত, যেটিতে Adreno X1-85 iGPU এর সাথে 3.4 GHz এ চলে 12 টি Oryon CPU কোর আছে। আমি আমার প্রধান ল্যাপটপ হিসেবে Asus Vivobook S15 ব্যবহার করছি। আমারটি ছিলো 8448 MT/s এ চলমান 16GB LPDDR5X RAM এবং একটি 1TB PCle Gn 4 SSD ছিলো। আমি গেম খেলেছি একসাথে 20টি ট্যাব খোলা রেখেছি তাও কোন ল্যাগ দেখতে পাইনি।

এছাড়াও আপনি যদি MacBook ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দেখবেন যে প্রসেসর যাই হোক না কেন Windows app  খুলতে প্রায় এক দুই সেকেন্ড সময় নেয়। কিন্তু খুবিই আশ্চরর্যজনকভাবে, আমি Asus Vivobook S15 এই ল্যাপটপে এই রকমের কোন সমস্যা দেখিনি। এটি ভারী অ্যাপ্লিকেশন খুব দ্রুততার সাথেই ওপেন করেছিল।


সম্প্রতি আমি নিজে পর্যালোচনা করে  Asus Vivobook S15 এর কয়েকটি পরীক্ষা করেছি তাতে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছি। এটি Geekbench 6 এর একক কোর 2434 এবং মাল্টিকোর পারফরমেন্স 14048 করেছে। Cinebench 2024 এ একক কোর 110 এবং মাল্টিকোর 1067 করেছিল। এই কোর এর পারফরমেন্স Asus Vivobook S15 কে MacBook Air M3 এর সাথে প্রতিযোগিতায় ফেলেছে।

Asus Vivobook S15 OLED Review: Game Support

ভালোভাবে পারফরমেন্স করে যে গেমগুলো সেগুলো হচ্ছে Rocket League, Overwatch 2, Hitman and RS6 Seige. 
আর ঠিকঠাক পারফরমেন্স করে যে গেমগুলো সেগুলো হচ্ছে DOTA 2, Counters Strike 2, Shadow of the Tomb Raider.
আর যে গেমগুলো খেলা যাবে না সেগুলো হচ্ছে F1 2024, PUBG, COD Warzone, Fortnite.

Asus Vivobook S15 OLED Review: Battery Life and Charging

ARM ল্যাপটপ বিক্রির বড় দিক হলো ভালো ব্যাটারি লাইফ যা Asus Vivobook S15 হতাশ করেনি। যদিও Asus18 ঘন্টা ব্যবহারের দবি করে, কিন্তু আমি একটানা 14-15 ঘন্টা পেয়েছি। এটি YouTube এ ভিডিও দেখা, লেখালেখি করা, ওয়েব ব্রাউজিং করা এবং হালকা ফটো এডিটিং করা।
সবশেষে, Asus Vivobook S15 ল্যাপটপটি দ্রুত চার্জিং সাপোর্ট করে। যা একঘন্টায় প্রায় 20% থেকে 80% পর্যন্ত নিয়ে গেছে। তবে, ল্যাপটপ চার্জ করার সময় নিচের অংশটা খুব গরম হচ্ছিল। তবে এতে খুব সমস্যা হবে না কারণ আমি এর আগেও আরেকটি  ল্যাপটপ ব্যবহার করেছি যেটিও চার্জের সময় নিচের অংশ গরম হয়েছিল।

শেষ কথা

সর্বশেষে বলতে গেলে Asus Vivobook S15 ল্যাপটপটি বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে । কারণ দৈনন্দিন ব্যবহারে অনেক ভালো পারফরমেন্স দিচ্ছিল এই ল্যাপটপটি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url